জার্মানির দুটি রাজ্যে নির্বাচনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল দলের ভরাডুবি হয়েছে।
সাধারণ নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে দু-দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে ভরাডুবির ধাক্কা জার্মানির সরকারের প্রধান শরিক দলকে দিশাহারা করে তুলেছে। ম্যার্কেলের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ১৬ বছর পর দলের হাত থেকে চ্যান্সেলর পদও হাতছাড়া হবার আশঙ্কা বাস্তব হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে জার্মানির আগামী সরকারের সম্ভাব্য রূপরেখাও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজ্য নির্বাচনে সিডিইউ দলের ভরাডুবির পর ম্যার্কেলের উত্তরসূরি বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও জটিল হয়ে উঠলো। সাধারণ নির্বাচনের ছয় মাস আগেও এমন শূন্যতা ইউনিয়ন দুর্বলতা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
সিডিইউ দলের সদ্য নির্বাচিত প্রধান আরমিন লাশেট নির্বাচনে এমন বিপর্যয়ের ফলে নিজেকে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চাইবেন কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বাভেরিয়া রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডারও শেষ পর্যন্ত এমন দুর্বল রথের সারথী হতে চাইবেন কিনা, তাও স্পষ্ট নয়।
সে ক্ষেত্রে ভোটারদের কাছে ম্যার্কেল-পরবর্তী ইউনিয়ন শিবিরের গ্রহণযোগ্যতা আরও কমে যেতে পারে।
সিডিইউ দলের সাধারণ সম্পাদক পাউল সিমিয়াক দুই রাজ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘সরকারের করোনা সংকটের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে মানুষের ক্রোধ বাড়ছে। এর কারণ বুঝতে না পেরে মানুষ ধৈর্য হারাচ্ছেন।’